মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের হাত থেকে ‘সাহসী নারী’র
পুরস্কার নিয়েছেন ঝালকাঠির মেয়ে শারমিন আক্তার। গতকাল বুধবার
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন
শারমিন। নিজের বাল্য বিয়ে ঠেকিয়ে দেয়ায় বাংলাদেশের এই কিশোরীকে ‘সাহসী
নারী’র পুরস্কার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস।
সারা বিশ্বে শান্তি ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, লিঙ্গ সমতা ও নারীর
ক্ষমতায়নের পক্ষে কাজ করার স্বীকৃতি হিসাবে শারমিন ছাড়াও এ বছর আরো ১২টি
দেশের ১২ জন নারীকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। এদের মধ্যে রয়েছেন মানবাধিকার
কর্মী, এনজিও কর্মী, রাজনীতিবিদ, ব্লগার থেকে শুরু করে সৈনিক পর্যন্ত।
শারমিন আলোচনায় এসেছিলেন গত বছর নভেম্বর মাসে। নবম শ্রেণিতে পড়ার সময়
মাত্র ১৫ বছর বয়সে শারমিনের মা তাকে বিয়ে দেয়ার আয়োজন করেছিল। স্কুলের
বন্ধু, সাংবাদিক এবং থানা পুলিশের সহায়তা নিয়ে শারমিন আকতার মায়ের
সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন।
বিয়েতে রাজী না হওয়ায় তার মা তাকে পাত্রের সঙ্গে কয়েকদিন একটি কক্ষে
আটকে রেখেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এক পর্যায়ে বন্দিদশা থেকে পালিয়ে এসে
মায়ের বিরুদ্ধেই মামলা ঠুকে দেন শারমিন।
এ ব্যাপারে শারমিন আক্তার বলেছেন, ‘আমি বিয়ের জন্য উপযুক্ত বয়সে ছিলাম
না। এই কিশোরী বয়সে একজন বয়স্ক লোকের সঙ্গে আমার সংসার করা সম্ভব ছিল না।
তখন আমাকে আটকিয়ে রেখে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল।
কিন্তু আমি এই পরিস্থিতি থেকে আমার জীবনকে বাঁচাতে মায়ের বিরুদ্ধে
দাঁড়িয়েছিলাম।’
শারমিনের দায়ের করা মামলায় তার মা এবং কথিত পাত্রকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
শারমিন এখন রাজাপুর পাইলট স্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তিনি বড় হয়ে
আইনজীবী হতে চান এবং বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে তার প্রচারণা অব্যাহত রাখতে চান।
No comments:
Post a Comment