সময়টা ভালো যাচ্ছিল না সার্জিও আগুয়েরোর। প্রথম একাদশে জায়গা
হারিয়েছিলেন, ম্যানচেস্টার সিটি তাকে বিক্রি করে দিতে পারে বলেও গুঞ্জন
ওঠে। সব মিলিয়ে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়া অবস্থায় জ্বলে উঠলেন আর্জেন্টিনার
এই তারকা। হোঁচট খেতে বসা দলকে পথে ফেরাতে জোড়া গোল করে জায়গা ধরে রাখার
দাবিটাও জোরালো করলেন।
গত মঙ্গলবার রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে আগুয়েরোর নৈপুণ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের
শেষ ষোলোরে প্রথম লেগে মোনাকোর বিপক্ষে ৫-৩ গোলের জয় পায় সিটি। দুবার
পিছিয়ে পড়া স্বাগতিকরা প্রতিবারই তার গোলেই সমতায় ফেরে।
ম্যাচ শেষে গার্দিওলার দলের অংশ হয়েই থাকার ইচ্ছার কথা জানান আগুয়েরো।বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখের সাবেক কোচ গার্দিওলার অধীনে শুরুতে দারুণ
পারফরম্যান্স দেখান এই ফরোয়ার্ড। প্রথম ৬ ম্যাচে গোল করেন ১১টি।তবে শুরুর সাফল্য ধরে রাখতে পারেননি। ধীরে ধীরে আগুয়েরোর জন্য সময়টা কঠিন
হয়ে ওঠে। দুবার অখেলোয়াড়সূলভ আচরণের জন্য মোট ৭ত ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়েন।
৩ বার স্পটকিকে গোল করতে ব্যর্থ হন। সবশেষে গত মাসে গাব্রিয়েল জেসুসের
কাছে জায়গা হারান।
কিন্তু ১৯ বছর বয়সী ব্রাজিলের এই ফরোয়ার্ড চোটে পড়ায় শুরুর একাদশে ফিরেন
আগুয়েরো। আর মোনাকোর বিপক্ষে প্রয়োজনের সময় স্বরূপে জ্বলে ওঠে সুযোগটা কাজে
লাগাতে ভুল করেননি ৬ ম্যাচ গোলখরায় থাকা আক্রমণভাগের এই খেলোয়াড়।ম্যাচ শেষে আগুয়েরো কোচের সঙ্গে তার বোঝাপড়া নিয়ে বলেন, ‘সত্যিটা হলো আমরা
খুব ভালোভাবে মানিয়ে নিচ্ছি। সর্বোপরি, সব খেলোয়াড়ের কাছ থেকে তিনি
(গার্দিওলা) চান আমরা যেন আরেকটু বেশি চেষ্টা করি। তিনি আমাকেও সবসময় আরো
বেশি দেয়ার জন্য বলেন।’
তিনি আরো বলেন, অবশ্যই, আমাকে এই ত্যাগ করতে হবে, যা আমাদের সবাইকে করতে
হবে। ভাগ্যক্রমে এটা কাজে দিয়েছে আর দেখা যাক, আমরা এটা পরের ম্যাচেও ধরে
রাখতে পারি কি-না।সিটির সঙ্গে আগুয়েরোর চুক্তি ২০২০ সাল পর্যন্ত। তবে এখানে কতদিন থাকবেন-
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি কোচের ওপর ছেড়ে দেন ২৮ বছর বয়সী এই
তারকা।
আগুয়েরো বলেন, সৌভাগ্যক্রমে তিনি আমাকে মূল্যায়ন করেছেন। এখন আমি দলকে
সহযোগিতা করতে চাই এবং আমি কী করতে পারি সেটা দেখাতে চাই। আমি সবসময়ই
বলেছি, আমি এই ক্লাবে থাকতে চাই।তবে মৌসুম শেষে তার এখানে থাকা না থাকার বিষয়টি যে ক্লাবের ওপরই নির্ভর করবে, সেটাও জানিয়ে দিলেন আগুয়েরো।
News Source : www.abnews24.com
No comments:
Post a Comment